আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সাম্প্রতিক বছর গুলোয় গোলাগুলির ঘটনা বেড়ে গেছে দেশটিতে। বলছি ইউরোপের ফুলের বাগান খ্যাত, ধরনীর বুকে বেহেশত বলে অভিহিত সমাজ কল্যাণমূলক স্ক্যান্ডেনাভিয়ান দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত সুইডেনের কথা। সুইডিশ পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী ২০২২ সালেই ৩৯১ টি গোলাগুলির ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে; নিরাপত্তা, শান্তি ও জনকল্যাণের দেশ চির নিরাপদ স্বর্গরাজ্য সুইডেনে কেন এমনটা ঘটছে?!!
সুইডিশরা হচ্ছে ভয়ঙ্কর জলদস্যু ভাইকিংদের বংশধর । এক সময় দস্যুপনা, লুটতরাজ, খুনখারাবি করে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল এই ভাইকিংরা । এখন কি তাহলে অর্থনৈতিক মন্দার যে আবহাওয়া ইউরোপে বিরাজ করছে তাতে এই স্ক্যান্ডেনাভিয়ান দেশগুলো বিশেষ করে সুইডেনের জনগণের সমাজকল্যাণে ভাটা, ব্যত্যয় এবং তাদের প্রাচুর্যে টান পড়াতে কি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে?
সামনে আরো অনেক কিছু ঘটবে। চরম বস্তুবাদী ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী এবং উদ্দাম যৌনতার স্বর্গরাজ্য হচ্ছে এই সব স্ক্যান্ডেনাভিয়ান দেশ। আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসাধু দুর্নীতি পরায়ন লোকেরা তাদের অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ সম্পদ অর্থাৎ কালো টাকা পাচার করে এ সব দেশের ব্যাংকগুলোয় জমা রাখে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণ কালো টাকা এ সব দেশের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা রেখেছে। আর সেই সুবাদে বিভিন্ন দেশের অসৎ ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা, রাজনীতিক, চোর, বাটপার ও লুটেরা এ সব দেশে কালো টাকা পাচার করে এনে বিনিয়োগ করে দিব্যি এ সব দেশের নাগরিকত্বও পেয়ে যাচ্ছে এবং পুনর্বাসিত হচ্ছে ।
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। ভাইকিং চোর ডাকাতদের সাথে বিভিন্ন দেশের চোর বাটপার লুটেরা দুর্নীতি পরায়নদের নিবিড় সখ্যতা ও সহযোগিতা রয়েছে বলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পয়সা ও সম্পদ সুইডেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন সংকটের ধাক্কা ইউরোপসহ এ সব স্ক্যান্ডেনাভিয়ান দেশগুলোকেও প্রবল ভাবে ঝাকুনি দিচ্ছে যার ফলে যার ফলে সুইডেনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।#176লেখক: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান